আজকে আমি আপনাদের জন্য জটিল একটা সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। সফটওয়্যারটির নাম “কপি প্রটেক্ট” সফটওয়্যার টির কাজ হচ্ছে যেকোনো ফাইলকে কপি প্রটেক্ট করা। মনে করুন আপনার একটা প্রিয় গান আপনি খুব সখ করে সবার আগেই ডাউনলোড করে ফেলেছেন এবং এই গানটি বর্তমানে শুধু আপনার কাছেই আছে আপনি চান না যে আপনার এই গানটি আপনার কম্পিউটার থেকে বা মেমরি কার্ড থেকে কেউ যাতে নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু এটা কি সম্ভব? হ্যাঁ অবশ্যয় সম্ভব!
সেই সফটওয়্যার নিয়েই আজকের এই পোস্ট।
সফটওয়্যার ইন্সটল পদ্ধতিঃ
প্রথমে প্রথমে এই লিঙ্ক DOWNLOAD NOW থেকে সফটওয়্যার টি ট্রায়াল ভার্সন ডাউনলোড করেডাউনলোড করার নিয়ম:
১.DOWNLOAD NOW লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন
২.Free Download এ ক্লিক করুন
৩. Create Download Link লেখাটি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।Create Download Link লেখাটি স্পষ্ট হলে এতে ক্লিক করলে ডাউনলোড শুরু হবে।
ওপেন করুন এবং নরমাল সফটওয়্যার এর মত ইন্সটল করুন ও নিচের ছবিগুলো অনুসরণ করুন।
ইন্সটল এর সব শেষের ধাপে দুইটি টিক দেয়ার জায়গা আসবে সেই টিক গুলো উঠিয়ে দিন। নিচের ছবিতে খেয়াল করুন।
এবার সফটওয়্যার টি ওপেন করলে লাইসেন্স চাইবে। কোথায় পাবেন সেই লাইসেন্স? এই সফটওয়্যারটির দাম প্রায় ৫ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা (৬৯.৯৫ ডলার) তাই ভাবছেন কি করা যায়। আরে ধুর! চিন্তা ছাড়েন আমি আপনাদের কে দিয়ে দিচ্ছি একদম ফ্রি! টাকা পয়সার চিন্তা নাই। ফ্রি ব্যবহার করার জন্য এই লিঙ্ক হতে লাইসেন্স ডাউনলোড করে ফেলুন। সফলভাবে ডাউনলোড হলে ফাইলটি তে একবার ডবল ক্লিক করুন এবার নিচের ছবির মত একটা ম্যাসেজ বক্স আসলেই মনে করবেন আপনার সফটওয়্যার টি ফুল ভার্সন হয়ে গেছে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা অনেক সহজ যে কেও ব্যবহার করতে পারবে তারপরেও আপনার জন্য ছোট করে কিছু উদাহারন স্বরূপ কিছু বিস্তারিত লিখলাম।
সফটওয়্যার টি ওপেন করলে নিচের ছবির মত আসবে। এখানে কিছু ফাইল এক্সটেনশন দেয়া আছে এই ফাইলগুলো এই সফটওয়্যার দ্বারা “কপি প্রটেক্ট” করা সম্ভব। তাই এক্সটেনশন গুলো মনে রেখে “Start” বাটনে ক্লিক করুন।
এখন নিচের ছবির মত আসলে সেখান আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো যুক্ত করুন। ছবির নিচের লেখাগুলো পুড়ুন।
০১) ফাইল যুক্ত করার জন্য এখানে ৩ ধরনের পদ্ধতি আছে আপনি যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন।
- যদি Add File নির্বাচন করেন তাহলে আপনার পছন্দ মত বেছে বেছে ফাইলগুলো যুক্ত করতে পারবেন।
- যদি Add Folder নির্বাচন করেন তাহলে যেকোনো নির্দিস্ট একটি ফোল্ডার কে নির্বাচন করে লিস্টে যুক্ত করতে পারবেন।
- যদি Add Drive নির্বাচন করে তাহলে যেকোনো ড্রাইভ (সিডি/ডিভিডি বা হার্ড ড্রাইভ) কে নির্বাচন নির্বাচন করে লিস্টে যুক্ত করতে পারবেন।
০২) আপনার নির্বাচিত ফাইলগুলোর এখানে লিস্ট আকারে দেখাবে।
০৩) আপনার ফাইলগুলো সফল ভাবে যুক্ত করা হলে “Next>” বাটনে ক্লিক করুন।
এবার নিচের ছবির মত আসবে এবং এখানে (যদি আপনি চান) কিছু কনফিগার করতে হবে।
০১) এখানে আপনার ফাইলের ভালমন্দ আপনি ফাইলকে কি কি ভাবে কনভার্ট করবেন এই ধরনের কিছু কনফিগার করতে পারবেন।
০২) কনফিগার করা শেষ হলে “Next>” বাটনে ক্লিক করুন।
এবার নিচের ছবির মত আসবে এখানে আপনাকে সিডি/ডিভিডি বা বহনযোগ্য ডিস্ক নির্বাচন করতে হবে।
০১) এখানে আপনি যে ড্রাইভ বা সিডি/ডিভিডি তে কপি করবেন সেটা নির্বাচন করুন।
এখানে আপনি সিডি/ডিভিডি তে রাইট করতেও পারবেন এই জন্য আপনাকে একটি ব্ল্যাংক সিডি/ডিভিডি আপনার সিডি/ডিভিডি রোমে প্রবেশ করাতে হবে।
০২) ড্রাইভ নির্বাচন করা হয়ে গেলে “Next>” বাটনে ক্লিক করুন।
এবার সফটওয়্যার টি তার তামাশা শুরু করে দেবে।তামাশা শেষ হলে “Finished>” বাটনে ক্লিক করে সফটওয়্যার টি বন্ধ করে দিন।
এবার আপনি যে ড্রাইভ এ ফাইলগুলোকে ট্রান্সফার করার জন্য এতক্ষণ তামাশা করলেন সেই ড্রাইভ টি ওপেন করুন দেখুন নিচের ছবির মত হিজিবিজি কয়েক ধরণের ফাইল এসে উপস্থিত হয়ে গেছে।
এখানে আপনার আপনার পরিচিত নামের ফাইল টি ওপেন করুন। যেমনঃ আমি Aaja Priya (Sunidhi Chaulan) টি নিয়ে তামাশা করেছি, তাই সেই নামের ফালটি ওপেন করলাম। দেখুন জটিল একটা আন-কমন প্লেয়ার সামনে এসে হাজির যেটি আমি কোনদিন দেখি নাই। আর গান বাজছে ডিজিটাল সাউন্ডে, তাই মজাই আলাদা।
এখন কেউ যদি আপনার এই ফাইলগুলো তার কম্পিউটারে কপি করে তাহলে তাই চৌদ্দ গুষ্ঠি এসে সেই ফাইল চালাতে পারবে না। এই সফটওয়্যার কাজই হচ্ছে এটা। কেউ যদি আপনার ফাইলগুলো কপি করে থাকে এবং ওপেন করার চেষ্টা করে তাহলে নিচের ছবির মত ম্যাসেজ বক্সটি প্রদর্সিত হবে।
এবার আপনারাই ভাবুন কার এটা কাজে লাগবে আর কার লাগবে না। যদি আপনাদের কাছে সফটওয়্যার টি প্রয়োজনীয় হয় তাহলে আমার পোস্ট সার্থক!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন